-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাছির উদ্দিন চৌধুরী

একদা চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে ছিলো যাঁর দৃপ্ত পদচারণা; যাঁর আপোষহীন বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো; একদিন যাঁর মধ্যে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বা ষাটের দশকের অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী’র উজ্জ্বল ছায়া প্রতিফলিত হতে দেখা গিয়েছিলো; চট্টগ্রামের ছাত্ররাজনীতির দুষ্টক্ষত, জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ লালনকারী স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একদিন চট্টগ্রাম কলেজকে দখল করে সেখানে যখন অস্ত্রের গুদাম ও জঙ্গী প্রশিক্ষণ শিবির খুলে চট্টগ্রামে প্রগতিশীল রাজনীতির বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে তুলেছিলো এবং বছরের পর বছর একই গ্রহণ লাগা মৌলবাদী অন্ধকারে পাখা ঝাপটে মরছিলো প্রগতিশীল রাজনীতির মুক্ত বিহঙ্গ, তখন যিনি অসীম সাহসে জ্বলে উঠে ছাত্র সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল করে চট্টগ্রাম কলেজে প্রবেশ করে শিবিরের ঘাঁটি তছনছ করে দিয়েছিলেন, তিনি অগ্নিকন্যা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। চট্টগ্রাম মাতিয়ে, চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজের মন জয় করে তিনি এখন কক্সবাজারবাসীর মন জয় করার জন্য পর্যটন নগরে উপনীত হয়েছেন তাঁর রাজনৈতিক মিশনে।

তবে কক্সবাজারের রাজনীতিতে তিনি নতুন নন, কক্সবাজারও তাঁর কাছে নতুন নয়। কক্সবাজারের একটি প্রধান রাজনৈতিক পরিবারে তাঁর জন্ম এবং আরেকটি প্রধান রাজনীতি পরিবারের তিনি পুত্রবধূ; সেই সূত্রে তিনি পেয়েছেন রাজনীতির সহজাত দক্ষতা ও উত্তরাধিকার। তাঁর পিতামহ (পিতার জেঠা) আবদুল মজিদ সিকদার ছিলেন ব্রিটিশ আমলে কক্সবাজার জেলার প্রথম রাজবন্দী। তাঁর পিতা অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তানী জমানায় আওয়ামী লীগের একজন বিশিষ্ট সংগঠক ও নেতা; সত্তরের নির্বাচিত এমপিএ, বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নকারী গণপরিষদের সদস্য এবং তিয়াত্তরের নির্বাচিত এমপি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

সর্বোপরি, জননেত্রী কাবেরী হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের সন্তান। প্রিয় মাতৃভূমি থেকে মুক্তিযোদ্ধারা যখন দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য রক্তে আগুন নিয়ে হোলি খেলছিলো, লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন রক্তের সাগর সাঁতরিয়ে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছার জন্য জীবনপণ সংগ্রামে লিপ্ত ছিলো; বস্তি, ছাত্রাবাস, মানুষের বাড়িঘর পাকিস্তানি হায়েনা বাহিনী গানপাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছিলো; সাত পুরুষের ভিটেমাটি ফেলে কোটি মানুষ এক বস্ত্রে সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছিলো; এমনি ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে যে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো; জন্মেই সে কাঁদতে ভুলে গিয়েছিলো; জন্মেই অসত্য, অসুন্দর, অশুভকে দেখে তার ভয় উবে গিয়েছিলো; জন্মেই যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবিক লড়াই প্রত্যক্ষ করেছে, সে তো সংগ্রামী হবেই। সুতরাং নেত্রী কাবেরী যে সংগ্রামী, সাহসী হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

কারণ তিনি আজন্ম যোদ্ধা; সাহস তাঁর জন্মসাথী। জন্মেই তিনি দেখেছেন এক ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি, সেই স্বদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য তিনি বারে বারে রাজপথে নেমে আসবেনই। যখনই শকুন খামচে ধরবে মানচিত্র; যখনই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত পতাকা উড়বে রাজাকারের গাড়িতে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতার চেয়ারে বসে স্বাধীনতাকে উপহাস করবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধকে কলংকিত করবে, তখনই নেত্রী কাবেরীর রণাঙ্গিনী মূর্তি রাজাকার আল বদর শান্তি কমিটি ঘাতক দালাল জঙ্গী মৌলবাদীর বুকে কাঁপন ধরাবেই।

কী আশ্চর্য! ইতিহাসের কী সমাপতন! জননেত্রী কাবেরীর পরিণয়ও হলো কক্সবাজারের সর্বপ্রধান রাজনৈতিক পরিবারে। রামুর জোয়ারিয়ানালার এই পরিবারটিকে কক্সাবাজারে আওয়ামী রাজনীতির আঁতুরঘর বললে অত্যুক্তি হবে না। রামুর ঐতিহ্যবাহী এই পরিবারে যাঁর হাত ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছিলো, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজ) সহপাঠী ও বেকার হোস্টেলের আবাসিক আফসার কামাল চৌধুরী। তাঁকেই বঙ্গবন্ধু ১৯৬৪ সালে কক্সবাজার এসে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করে দলের জেলা কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। ৭১ সালে আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাঁকেই আহ্বায়ক করে কক্সবাজার জেলা সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। তাঁরই সুযোগ্য পুত্র ছাত্রনেতা আসিফ কামাল চৌধুরী ছিলেন জননেত্রী কাবেরীর জীবনসঙ্গী। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, সাবেক ভিপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের একজন শীর্ষ সংগঠক ছিলেন। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ৮বার পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হন এবং প্রত্যেক বারই তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছে। ২০০৬ সালে ১/১১ এর আগে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো সেখানে তিনি ছিলেন অন্যতম চূড়ান্ত প্রার্থী। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, মাত্র ৩৮ বছর বয়সে এই অদম্য সাহসী বীরের মৃত্যু হয় ২০০৬ সালের ১০ জুন তারিখে। এরপর থেকে নাজনীর সরওয়ার কাবেরী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তাঁর স্বামী মরহুম আসিফ কামাল চৌধুরী’র স্থানে কো-অপশন পান।

জননেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত:

কক্সবাজার জেলার সংগ্রামী নারীনেত্রী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জননেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ১৯৯০ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অহংকার, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ছাত্রলীগ ছিলো তাঁর শৈশব ও শৈশোরের ভালোবাসা ও হৃদয়ের প্রচ- অহংকার। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। তিনি ঐ সময় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সকল কর্মকা-ে এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন ও নির্যাতিত হন।

পরবর্তীকালে সম্ভাবনাময় তরুণ নেত্রী কাবেরীর মেধা, সাহস ও সাংগঠনিক ক্ষমতা দেখে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলনের সংগ্রামে এবং জামায়াত-শিবির ও বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবসময় কাজ করে এসেছেন।

জনাবা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকা- ও কক্সবাজার জেলা আবাহনী ক্লাব লিঃ এর সাবেক সভাপতি হিসেবে সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জনাবা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নিয়মিত মঞ্চশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ইং তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৮ বছর পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে জামায়াত-শিবির মুক্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকা- উন্মুক্ত করে ছাত্রলীগের কর্মকা- শুরু করা হয়। ঐ দিনই তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

তিনি বর্তমানে আসিফ কামাল চৌধুরী ফাউন্ডেশন নামে সমাজের গরীব ও মেহনতি মানুষের সেবায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে সাধ্য মোতাবেক গরীব, দুঃখী মানুষের চিকিৎসাসেবা ও রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন সেবামূলক কাজ এবং নির্যাতিত জনগণকে আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে জনসেবায় নিয়োজিত হওয়া।

২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা।

৩. সমাজের মানুষের কল্যাণ সাধন করা।

৪. বাংলাদেশের গরিব-দুঃখী ও মেহনতি নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে শোষণমুক্ত ও নির্যাতনমুক্ত সমাজ গঠন করা।

জনাবা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ১৯৮৭ সালে রামু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এস.এস.সি, ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এইচ.এস.সি, ২০০৮ সালে একই কলেজ থেকে বিএসসি এবং ২০০১ সালে এমএসএস পাস করেন।

কক্সবাজারের রাজনীতিতে তাঁর আগমনকে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন এখানে অসংখ্য দেশপ্রেমিক নেতা অধ্যূষিত এই জেলায় নাজনীন সরওয়ারের সংযোজন যেন তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যেন বঙ্গোপসাগর থেকে এক ঝলক তরতাজা বাতাস লুটোপুটি খাচ্ছে।

বিশেষ করে, তরুণ সমাজ, নারী, ছাত্র-যুবসমাজ যাদেরকে আগামীদিনের রাজনীতির নিয়ামক মনে করা হয়, তাদের মধ্যে খুব উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জেলার বিভিন্ন হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে পেরেছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার ভূমিদস্যুতা রোধ করতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন এবং প্রান্তিক চাষীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তিনি রামু কক্সবাজারের প্রত্যন্ত পল্লীতে কাজ করছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতায় সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে তিনি সকল ধর্মের সাথে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করার কাজে নিয়োজিত হয়েছেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র উন্নয়নবার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি সাদাকে সাদা শুধু আর কালোকে কালো বলেননা, প্রয়োজনে বিষধর সাপের বিষ নিধন করতে অমীয় সাহসীর উত্তরাধিকার। সদ্য ছাত্র রাজনীতি থেকে আগত কাবেরীর সংগ্রামী চেতনা, টসবগে তারুণ্য কক্সবাজারের রাজনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে এমনই প্রত্যাশা সকলের। জননেত্রী কাবেরীর নেতৃত্বে বাকখালী নদীতে নৌকার পক্ষে দু’কূল উপচে পড়া জোয়ার সৃষ্টির সম্ভাবনায় কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ আগ্রহে তাকিয়ে আছে আগামী নির্বাচনের দিকে।

নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর ব্যক্তি-ইমেজ-সততা-নিষ্ঠা-একাগ্রতা-জনগণের প্রতি ভালোবাসাকে পুঁজি করে; কক্সবাজার-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রদান করলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মত সচ্ছ ভোটের মাধ্যমে বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। জয় বাংলা…জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক-সাংবাদিক-কলামিস্ট